আলহেরা জামেয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে অন্যতম হলো সুনামগঞ্জ জেলা। ভৌগলিক দিক থেকে সুনামগঞ্জ জেলা হাওড় বেষ্টিত জনপদ হিসেবে পরিচিত। আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং শিক্ষা দীক্ষায় অনগ্রসর হিসেবে এই জনপদকে গণ্য করা হয়। তদুপরি ইসলামী শিক্ষায় এ জেলা সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম হলো মাইজবাড়ি। সুনামগঞ্জ পৌরশহর সংলগ্ন এই গ্রামটি কুরবাননগর (সাবেক আপ্তাবনগর) ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত। এই ইউনিয়নে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও মাধ্যমিক স্তরের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো না। এই প্রেক্ষাপটে অত্র জনপদের শিশু-কিশোরদেরকে ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশপাশি সাধারণ জনগণের মাঝে ইসলামী শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের লক্ষে ০১/০১/১৯৬৬ খ্রিঃ এই মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন সিলেট অঞ্চলের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ও বুযুর্গ মরহুম হযরত মাওলানা মোঃ আব্দুল মতিন শায়খে ফুলবাড়ি। এলাকাবাসী সর্বস্তরের জনগনণর সার্বিক সহযোগিতায় মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হলেও এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ব্যাক্তিবর্গের ভূমিকা ও অবদান উল্লেখযোগ্য। তাঁরা হলেন: সর্বজনাব ১.মরহুম আব্দুস সামাদ ২. মরহুম আব্দুল জব্বার ৩. মরহুম হাজী আব্দুল আজীজ ৪. মরহুম আব্দুল বারী, ৫. মরহুম মাওলানা আব্দুল গণি , ৬. মরহুম আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রউফ, ৭. মরহুম মাওলানা রহিম উল্লাহ, ৮. মরহুম আক্রম উল্লাহ, ৯.মরহুম হাজী আব্দুর রহমান ১০. মরহুম হাজী আব্দুল ওয়াদুদ, ১১.মরহুম ডাঃ করম আলী , ১২. মরহুম ডাঃ আশরাফ আলী, ১৩. মরহুম ডাঃ আব্দুল আহাদ, ১৪. মরহুম হাজী ইকরাম আলী , ১৫. মরহুম মাষ্টার নূরুল ইসলাম, ১৬. মরহুম মোঃ নজরুল ইসলাম , ১৭. জনাব মোঃ আবুল বরকত চেয়ারম্যান ১৮. মরহুম মোঃ আবদুর রশিদ এবং ১৯. মাওলানা মুবাশ্বির আলী প্রমুখ।
মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ছিল ” মাইজবাড়ি ইসলামিয়া মাদরাসা” । ০১/০১/১৯৮৫ খ্রিঃ তারিখ থেকে মাদরাসাটি বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক ইবতেদায়ি মাদরাসা হিসেবে অনুমোদন লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আর্থিক সংকট ছিল মাদরাসাটির নিত্যসংগী। শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন দিতে না পারায় তাদের ধরে রাখা সম্ভব হতোনা। আর্থিক যোগান দিতে না পারার কারণে মাদরাসাটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া এলাকাবাসীর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ০১/০১/১৯৯২ খ্রিঃ থেকে মাদরাসাটি পরিচালনার দায়িত্ব লিখিত চুক্তি ও রেজিষ্ট্রি দলীলেরে মাধ্যমে সুনামগঞ্জ ইসলামী সংস্থার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
সুনামগঞ্জ ইসলামী সংস্থার পরিচালনায় মাদরাসা: সুনামগঞ্জ ইসলামী সংস্থা কর্তৃক মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহন করার সময় যে চুক্তিনামা সম্পাদন করা হয়, তাতে মাদরাসার নাম পরিবর্তন করে “ আলহেরা জামেয়া ইসলামিয়া” নামকরণ করা হয়। সুনামগঞ্জ ইসলামি সংস্থা কর্তৃক মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহনের পর বিভিন্ন সময় যারা মাদরাসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা হলেন: মরহুম মাওঃ আহমদ হোসাইন, মরহুম আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সালেহ, মরহুম মোঃ হাতিমুর রহমান এবং মরহুম মাওঃ মোঃ আব্দুল মতিন এবং জনাব ছৈয়দ মনছুর আলী । সুনামগঞ্জ ইসলামী সংস্থার পরিচালনায় মাদরাসাটিতে ০১/০১/১৯৯৭ খ্রিঃ থেকে দাখিল নবম শ্রেণি চালূ করা হয়। ০১/০১/১৯৯৮ খ্রিঃ থেকে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নবম শ্রেণি খোলার প্রাথমিক অনুমতি লাভ করে। ১৯৯৯ খ্রিঃ সালে সর্বপ্রথম মাদরাসার নামে দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করা হয়। মাদরাসাটি ০১/০১/২০০১ খ্রিঃ থেকে দাখিল স্তর পর্যন্ত একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে এবং ০১/০৫/২০০২ খ্রিঃ থেকে দাখিল স্তর পর্যন্ত এমপিও ভূক্ত হয়। ০১/০১/২০০৭ খ্রিঃ থেকে দাখিল স্তরে কম্পিউটার শিক্ষা বিষয় এবং ০১/০১/২০০৮ খ্রিঃ থেকে দাখিল স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ চালুর জন্য শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে। মাদরাসাটি ০১/০৭/২০০৭ খ্রিঃ থেকে আলিম শ্রেণি চালুর জন্য প্রাথমিক অনুমতি এবং ০১/০৭/২০১০ খ্রিঃ থেকে আলিম শ্রেণির একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ০১/০৭/২০১৯ তারিখ থেকে আলিম স্তর এমপিও ভূক্ত হয়। ২০১৭ সালে ফাজিল (স্নাতক) শ্রেণি চালু হয় এবং ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাজিল পাঠদান ও পরীক্ষার প্রাথমিক অনুমতি লাভ করে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এখানে হিফজ ও নূরানী বিভাগ চালু করা হয়।
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে অন্যতম হলো সুনামগঞ্জ জেলা। ভৌগলিক দিক থেকে সুনামগঞ্জ জেলা হাওড় বেষ্টিত জনপদ হিসেবে পরিচিত। আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং শিক্ষা দীক্ষায় অনগ্রসর হিসেবে এই জনপদকে গণ্য করা হয়। তদুপরি ইসলামী শিক্ষায় এ জেলা সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম হলো মাইজবাড়ি। সুনামগঞ্জ পৌরশহর সংলগ্ন এই গ্রামটি কুরবাননগর (সাবেক আপ্তাবনগর) ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত। এই ইউনিয়নে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও মাধ্যমিক স্তরের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো না। এই প্রেক্ষাপটে অত্র জনপদের শিশু-কিশোরদেরকে ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশপাশি সাধারণ জনগণের মাঝে ইসলামী শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের লক্ষে ০১/০১/১৯৬৬ খ্রিঃ এই মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন সিলেট অঞ্চলের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ও বুযুর্গ মরহুম হযরত মাওলানা মোঃ আব্দুল মতিন শায়খে ফুলবাড়ি। এলাকাবাসী সর্বস্তরের জনগনণর সার্বিক সহযোগিতায় মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হলেও এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ব্যাক্তিবর্গের ভূমিকা ও অবদান উল্লেখযোগ্য। তাঁরা হলেন: সর্বজনাব ১.মরহুম আব্দুস সামাদ ২. মরহুম আব্দুল জব্বার ৩. মরহুম হাজী আব্দুল আজীজ ৪. মরহুম আব্দুল বারী, ৫. মরহুম মাওলানা আব্দুল গণি , ৬. মরহুম আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রউফ, ৭. মরহুম মাওলানা রহিম উল্লাহ, ৮. মরহুম আক্রম উল্লাহ, ৯.মরহুম হাজী আব্দুর রহমান ১০. মরহুম হাজী আব্দুল ওয়াদুদ, ১১.মরহুম ডাঃ করম আলী , ১২. মরহুম ডাঃ আশরাফ আলী, ১৩. মরহুম ডাঃ আব্দুল আহাদ, ১৪. মরহুম হাজী ইকরাম আলী , ১৫. মরহুম মাষ্টার নূরুল ইসলাম, ১৬. মরহুম মোঃ নজরুল ইসলাম , ১৭. জনাব মোঃ আবুল বরকত চেয়ারম্যান ১৮. মরহুম মোঃ আবদুর রশিদ এবং ১৯. মাওলানা মুবাশ্বির আলী প্রমুখ।
মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ছিল ” মাইজবাড়ি ইসলামিয়া মাদরাসা” । ০১/০১/১৯৮৫ খ্রিঃ তারিখ থেকে মাদরাসাটি বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক ইবতেদায়ি মাদরাসা হিসেবে অনুমোদন লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আর্থিক সংকট ছিল মাদরাসাটির নিত্যসংগী। শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন দিতে না পারায় তাদের ধরে রাখা সম্ভব হতোনা। আর্থিক যোগান দিতে না পারার কারণে মাদরাসাটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া এলাকাবাসীর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ০১/০১/১৯৯২ খ্রিঃ থেকে মাদরাসাটি পরিচালনার দায়িত্ব লিখিত চুক্তি ও রেজিষ্ট্রি দলীলেরে মাধ্যমে সুনামগঞ্জ ইসলামী সংস্থার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
সুনামগঞ্জ ইসলামী সংস্থার পরিচালনায় মাদরাসা: সুনামগঞ্জ ইসলামী সংস্থা কর্তৃক মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহন করার সময় যে চুক্তিনামা সম্পাদন করা হয়, তাতে মাদরাসার নাম পরিবর্তন করে “ আলহেরা জামেয়া ইসলামিয়া” নামকরণ করা হয়। সুনামগঞ্জ ইসলামি সংস্থা কর্তৃক মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহনের পর বিভিন্ন সময় যারা মাদরাসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা হলেন: মরহুম মাওঃ আহমদ হোসাইন, মরহুম আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সালেহ, মরহুম মোঃ হাতিমুর রহমান এবং মরহুম মাওঃ মোঃ আব্দুল মতিন এবং জনাব ছৈয়দ মনছুর আলী । সুনামগঞ্জ ইসলামী সংস্থার পরিচালনায় মাদরাসাটিতে ০১/০১/১৯৯৭ খ্রিঃ থেকে দাখিল নবম শ্রেণি চালূ করা হয়। ০১/০১/১৯৯৮ খ্রিঃ থেকে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নবম শ্রেণি খোলার প্রাথমিক অনুমতি লাভ করে। ১৯৯৯ খ্রিঃ সালে সর্বপ্রথম মাদরাসার নামে দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করা হয়। মাদরাসাটি ০১/০১/২০০১ খ্রিঃ থেকে দাখিল স্তর পর্যন্ত একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে এবং ০১/০৫/২০০২ খ্রিঃ থেকে দাখিল স্তর পর্যন্ত এমপিও ভূক্ত হয়। ০১/০১/২০০৭ খ্রিঃ থেকে দাখিল স্তরে কম্পিউটার শিক্ষা বিষয় এবং ০১/০১/২০০৮ খ্রিঃ থেকে দাখিল স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ চালুর জন্য শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে। মাদরাসাটি ০১/০৭/২০০৭ খ্রিঃ থেকে আলিম শ্রেণি চালুর জন্য প্রাথমিক অনুমতি এবং ০১/০৭/২০১০ খ্রিঃ থেকে আলিম শ্রেণির একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ০১/০৭/২০১৯ তারিখ থেকে আলিম স্তর এমপিও ভূক্ত হয়। ২০১৭ সালে ফাজিল (স্নাতক) শ্রেণি চালু হয় এবং ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাজিল পাঠদান ও পরীক্ষার প্রাথমিক অনুমতি লাভ করে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এখানে হিফজ ও নূরানী বিভাগ চালু করা হয়।
সুনামগঞ্জ ইসলামী সংস্থার পরিচালনাধীন আসার পর যে সকল সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মাদরাসা উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করেছে, তাঁরা হলেন নিম্নরূপ: সর্বজনাব মাওলানা মোঃ মুবাশ্বির আলী, এডভোকেট মোঃ হেলাল উদ্দিন, এডভোকেট মোঃ কামাল হোসেন, মাওলানা মোঃ নূরুল ইসলাম লন্ডনী, মাওলানা মোঃ আতাউর রহমান মহসিন, মাওলানা মোঃ মতিউর রহমান, মাওলানা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ শরফ উদ্দিন মাষ্টার, মাওলানা তোফায়েল আহমদ, মাওলানা আজিজুল হক মাসুক, মোঃ মমতাজুল হাসান আবেদ, মোঃ মামুন পারভেজ, মাওলানা মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, মোঃ মাহবুবে এলাহী তৌফিক, মরহুম ক্বারী মোঃ লিয়াকত আলী, মাওলানা মোঃ আরফিুল হক এনামী, মোঃ আব্দুল মকব্বির, মাওলানা মোঃ আব্দুল কবির প্রমুখ।
মাদরাসা সরকারী অনুমতি লাভ করার পর যারা বিভিন্ন সময় পরিচালনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়ে মাদরাসা পরিচালনা এবং উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তারা হলেন সর্বজনাব মরহম হাজী মোঃ নজরুল ইসলাম, মরহুম হাজী মোঃ আব্দুর রশিদ, মরহুম মোঃ সাজিদুর রহমান, মরহুম মাষ্টার নূরুল ইসলাম, মরহুম হাজী মোঃ ইকরাম আলী, জানাব মোঃ আবুল বরকত চেয়ারম্যান, জনাব মোঃ তাজুদ্দিন মেম্বার জনাব মোঃ রমজান আলী, জনাব মোঃ হোসেন আলী প্রমুখ।